নাম: Pinaki Bhattacharya - পিনাকী ভট্টাচার্য
জন্ম: ১৯৬৭ সালে
জন্মস্থান: বগুড়া
পিতা: শ্যামল ভট্টাচার্য
উত্তরাঞ্চলীয় বগুড়া শহরের
একজন সাবেক শিক্ষক
এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
পেশা: ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট , চিকিৎসক
শিক্ষা:এমবিবিএস ,রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে
রচনা: ১৮টি গ্রন্থ তিনি রচনা করেছেন।
ওয়েবসাইট:
ফেইসবুক:
প্রকাশিত বইয়ের নাম
(১) মার্কিন ডকুমেন্টে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ’৭১
(২) স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ
(৩) রবি বাবুর ডাক্তারি
(৪) মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম
(৫) ধর্ম ও নাস্তিকতা বিষয়ে বাঙালি কমিউনিস্টদের ভ্রান্তিপর্ব
(৬) সোনার বাঙলার রূপালী কথা
(৭) নানারঙের রবীন্দ্রনাথ
(৮) চীন কাটুম
(৯) ডিসকোর্স অন মেথড : জ্ঞানের পদ্ধতি বিষয়ে পর্যালোচনা
(১০) মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ : সাফল্যর তত্ত্ব তালাশ
(১১) মন ভ্রমরের কাজল পাখায়
(১২) বালাই ষাট
(১৩) ওয়েদার মেকার
(১৪) ভারতীয় দর্শনের মজার পাঠ
(১৫) মুক্তিযুদ্ধ, ধর্ম, রাজনীতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
(১৬) রবীন্দ্রনাথ : অন্য আলোয় ঈশ্বর আত্মা কারণ
(১৭) ইতিহাসের ধুলোকালি
(১৮) এনলাইটেনমেন্ট থেকে পোস্টমডার্নিজম চিন্তার অভিযাত্রা
সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচালনা করছেন একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী।
পিনাকী ভট্টাচার্য প্যারিসে বসবাসরত একজন বাংলাদেশী ব্লগার
এবং সোশ্যাল একটিভিস্ট হিসেবেই অধিক পরিচিত এবং সমাদৃত।
তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর একজন এডজাংক্ট ফ্যাকাল্টি।
সেখানে তিনি এনভারমেন্টাল টক্সিকোলজি পড়ান।
পিনাকী ভট্টাচার্য ফেসবুক,
টুইটার এবং ব্লগের পোস্টগুলোতে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে চলমান ক্ষমতাশীন সরকারের
দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, অপহরণ এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার সমালোচনা করে আসছেন।
তাঁর পোস্ট এবং টুইটগুলি প্রায়শই বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে।
অতি সাম্প্রতি তিনি অনলাইনে প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন একাধিকবার।
৫ আগস্ট ২০১৮।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান। শিক্ষার্থীদের নায্য আন্দোলন সমর্থন করায় আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ফটোগ্রাফার শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঠিক সেই সময়ে সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা পিনাকীকে ঢাকায় তাদের সদর দপ্তরে ডেকে পাঠায়।
কেন তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সেই বিষয়ে বিস্তারিত তারা কিছু বলেননি।
নজির রয়েছে,
সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারাবিরুদ্ধমত পোষণকারীদের দপ্তরে যাদের ডেকে পাঠায়,
তারা সামরিক গোয়েন্দাদের সাথে দেখা করার পর তাদের অনেককে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরিস্থিতি বিবেচনায় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করতে না গিয়ে আত্মগোপনে চলে যান পিনাকী।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা একাধিকবার পিনাকীর বাসস্থান এবং অফিসে অভিযান চালিয়ে তাকে খুঁজেছিলেন।
এমনকি তারা তাঁর বাসস্থানকে চব্বিশ ঘন্টা নজরদারির মধ্যে রাখেন।
আত্মগোপনে থাকাকালীন কর্তৃপক্ষ তার দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এতে তাদের উদ্দেশ্য পরিস্কার হয়ে যায়।
এসময় বন্ধুদের সহায়তায় দেশ ছাড়তে সমর্থ হন পিনাকী এবং ২০১৯-এর জানুয়ারীতে ব্যাংকক পৌঁছান।
এর দু’মাস পরে তিনি ফ্রান্সে পৌঁছেন এবং বর্তমানে সেখানে তিনি এখন রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন ।
প্যারিসের সর্বোর্ণ ইউনিভার্সিটি তে এখন উচ্চতর পড়াশোনা করছেন তিনি।
0 Comments